- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
মধ্যপ্রদেশে এক দলিত পরিবারের উপর অকথ্য অত্যাচার চালালো পুলিশ। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা দলিত স্বামী-স্ত্রীর।
তাঁদের অপরাধ, তাঁরা দলিত। তাঁদের অপরাধ, জমি চাষ করার জন্য ভাগচাষী নিয়োগ করেছিলেন। দুই লাখ টাকা ধার নিয়ে জমি ও চাষের টাকা জোগাড় করে ফসল ফলিয়েছিলেন। কোনওরকম আগাম সতর্কতা ছাড়াই হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বুধবার সেই ফসল নষ্ট করতে শুরু করে। ওই ফসলই ছিল রাজকুমার, সাবিত্রী ও তাঁদের বাচ্চাদের সারা বছর টিকে থাকার সম্বল।
তাঁরা সেই সম্বল হারানোর আশঙ্কায় পুলিশকে বাধা দেন। আর তাতেই শুরু হয় মার। পুলিশের নিষ্ঠুর লাঠির বাড়ি। সাবিত্রী স্বামীকে বাঁচাতে আড়াল করে দাঁড়ান। দুই মহিলা পুলিশ কর্মী তাঁকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেন। রাজকুমারের ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার। যে দলিত পরিবার বেঁচে থাকার জন্য টাকা নিয়ে ওই জমিতে ফসল ফলিয়েছে, তাঁদের উপরেও অত্যাচার চালায় পুলিশ।
ওই মারের পর রাজকুমার ও সাবিত্রী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে চৈতন্য ফেরে পুলিশের। তারা জোর করে রাজকুমার ও সাবিত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। প্রাণে বেঁচে গেছেন রাজকুমার ও সাবিত্রী।জেলা কালেক্টর এস বিশ্বনাথন বলেছেন, ''ওই জমিতে সরকারি মডেল কলেজ হওয়ার কথা। গাব্বু পারিদি জমি জবরদখল করেছিল। তার কাছ থেকেই রাজকুমার টাকা দিয়ে চাষ করার জন্য জমি নেন। তাঁদের জমি খালি করে দিতে বলার পর তাঁরা কীটনাশক খান।'' সরকারি আমলা যে ভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন তাতে মনে হচ্ছে, খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের নির্মমতার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। শুরু হয় হইচই।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment